Header Ads

পলাশী ট্রাজেডির ইতিবৃত্ত

পলাশী ট্রাজেডির ইতিবৃত্ত

লেখকঃ মোঃ জেহাদ উদ্দিন

প্রকাশনীঃ বাঙলাকথা


পলাশী ট্রাজেডির ইতিবৃত্ত বই প্রসঙ্গ
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এই যে ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিই না ৷ কথাটি সত্য অন্তত বাঙালি জাতির জন্যতো বটেই ৷ বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রাজেডি হল পলাশীর যুদ্ধ ৷ এই যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে শুধু বাংলার নয়, বরং পুরো ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়ে পড়ে ৷ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের তুলনারোহিত এই যুদ্ধের অনিবার্য শিকার হয় বাংলা তথা ভারতবর্ষের মুসলিম সম্প্রদায় ৷ কিন্তু সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে আশা লস্কর ইংরেজ বেনিয়ার দল, তাদের এদেশীয় দেশদ্রোহী অত্যাচারীদের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতায় কেবল মুসলমানদেরকে সর্বশান্ত করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং হাজার বছরের সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের শির দ্বারা ভেঙে গুঁড়ো করে দেয় ৷

পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল প্রসঙ্গে পড়ে যাচ্ছি ৷ কিন্তু বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে এত যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী ঘটনা সেটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ তো দূরের কথা বরং ইতিহাসের মোর ঘোরানো মর্মান্তত এ ঘটনাটি যেন অনেকটাই উপেক্ষার বিষয় হয়ে যাচ্ছে ৷ প্রতি বছর ২৩-শে জুন আসে এবং আর দশটি সাধারণ দিনের মতো নিরবেই চলে যায় ৷ এমনটি হয়ে আসছে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ৷ অথচ ২৩-শে জুন আমাদের স্বাধীনতা হারানোর দিন ৷ ভারতবর্ষের ভাগ্য বিপর্যয়ের সূচনার দিন এবং ভারতবর্ষের মুসলমানদের নাম নিশানা নিশ্চিহ্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের ভয়াবহ স্মারক এই দিন ৷

দুর্লভদের দ্বারা স্বদেশের প্রতি চরম বিশ্বাস ঘাতকতার দিন ৷ অপরদিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার মত দেশপ্রেমিক বীরের “শির দেগা নেহি দেগা আমামা” মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশ মাতৃকার জন্য জীবন বিসর্জনের দিন । এটি যেমন স্বাধীনতা হারানোর দিন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রামে বজ্র শপথ গ্রহণেরও দিন ৷






No comments

Powered by Blogger.